0
  Login

Author Archives: bpittech

লোগো তৈরি করার পূর্বে আপনার যে ৫ টি বিষয় অবশ্যই জানতে হবে || লোগো ডিজাইন

লোগো তৈরি করার পূর্বে আপনার যে ৫ টি বিষয় অবশ্যই জানতে হবে || লোগো ডিজাইন

ইংরেজিতে একটা কথা আছে, “A picture is worth more than a thousand words”,- দৃষ্টিলব্ধ কোনো কিছুর মর্মার্থ বুঝাতে এমনটি বলা হয়।

কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে লোগো দেখেই কেনো প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি বলে দেওয়া যায়? এমনকি প্রথমবার দেখেই প্রতিষ্ঠানের সেবার মান ও মনন উপলব্ধি করা যায়? লোগোই যেনো হাজার কথা বলে! একটি লোগোই যেনো কোটি টাকার ঐশ্বর্য!

লোগো খুব সংক্ষিপ্ত তবে খুব অর্থবহ একটি যোগাযোগের মাধ্যম। লোগোর উপর নির্ভর করে একটা প্রতিষ্ঠানের ইমপ্রেশন। কোনো বিজনেসের ব্র্যান্ডিং খরচের অন্যতম এক ক্ষেত্র হলো লোগো তৈরি করা। একারণেই কফি শপ থেকে কেএফসি, জনপরিবহন থেকে কার কোম্পানি, ডিজাইন এজেন্সি থেকে সফটওয়্যার কোম্পানি, পোশাকের ব্র্যান্ড, ম্যাগাজিন সহ সব প্রতিষ্ঠানেই আছে লোগোর ব্যবহার।

এই অর্টিকেলে লোগো তৈরি, লোগোর গুরুত্ব, উপকারিতা, প্রকারভেদ, লোগো তৈরির জন্য করণীয় বিষয় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

লোগো কী?

লোগো হলো যেকোনো ধরনের প্রতিক, যা একটি প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, পণ্য বা ব্র্যান্ডকে ভিজুয়্যালি উপস্থাপন করে বা দৃষ্টিগোচর করে। লোগো মূলত একটি প্রতিষ্ঠানকে উপস্থাপন করে এবং স্বনির্ভরতার পরিচিতি দেয়। যেমন: মিশরে ১৩শ শতকে একটি মাত্র হায়ারোগ্লিফিক চিহৃ ব্যবহার করা হয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্ব বুঝাতে। আর এভাবেই আধুনিক লোগোর যাত্রা শুরু হয়।

লোগোতে একটি মাত্র চিহৃ বা বিমূর্ত কোনো কিছু রূপায়ন হতে পারে, আবার প্রতিষ্ঠানের নামকেই ডিজাইন করার মাধ্যমে লোগো তৈরি করা যেতে পারে। তবে ডিজাইন যেটাই হোক, লোগো মূলত একটি প্রতিষ্ঠানের ধরণ, সেবার ধরণ, মনন ও রুচি ফুটিয়ে তোলে। লোগে দেখেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জনসাধারণের উপলব্ধি গড়ে উঠে।

প্রতিষ্ঠানের জন্য লোগো কেন প্রয়োজন?

লোগো একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করে বা চেহারার মতো কাজ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোগোই প্রথম জিনিস যা একজন গ্রাহক দেখে থাকেন। পরবর্তীতে সেই প্রতিষ্ঠানের কথা মাথায় আসলে, শুরুতেই তার লোগো চোখে ভেসে উঠে। কিছু না বলেও যেনো সব কিছু বলে দেয় একটি লোগো। এছাড়াও আরো কিছু কারনে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য লোগো অত্যাবশ্যক:

১। প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যার উপর বাকি সবকিছু নির্ভর করে। ব্র্যান্ড আইডেনটিটির সূচনা করে একটি লোগো।

২। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের থেকে একটি প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করে একটি লোগো।

৩। লোগো গ্রাহক এবং একটা কোম্পানির পরিচিতির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। আর্কষণীয় কালার, সেইপ দিয়ে ডিজাইন করা একটি সুপরিকল্পিত লোগো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের মস্তিষ্কে জায়গা করে নেয়, যা কাস্টমারকে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতি বারবার আগ্রহী করতে পারে।

৪। একটি আকর্ষণীয় ও অর্থবহ লোগো, মুহূর্তেই সম্ভাব্য গ্রাহককে আর্কষণ করতে পারে।

৫। লোগো আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহনকে প্রভাবিত করে। অনেকসময় আমরা কেবল লোগো দেখে, কয়েক সেকেন্ডেই একটা ইমপ্রেশনস গঠন করে ফেলি প্রতিষ্ঠানের মান, মনন ও সেবা সম্পর্কে।

৬। প্রতিষ্ঠানের মননের পরিচয় ও অতিরিক্ত তথ্য দিতে পারে একটি লোগো। বিষয়টা খেয়াল করা যায় আমাজনের লোগোতে। এর কম্বিনপশন মার্ক লোগোর নিচের স্মাইলিং ফেস ‘কাঙ্খিত কিছু পাওয়ার খুশি’, একসাথে অ্যারো হিসেবে A to Z বুঝায়।

৭। যেকোনো মিডিয়াডে কাজে লাগে একটি লোগো। যেমন: মার্কেটিং, পণ্য, প্যাকেজিং, সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট ইত্যাদি।

লোগো নিয়ে কিছু তথ্য:

১৩ শতকে মিশর প্রথম হায়ারোগ্লিফিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় মালিকানার প্রমাণ স্বরূপ। তবে মর্ডান লোগোর যাত্রা শুরু হয় ১৪৪০ সালে এবং কমার্শিয়াল লোগোর ব্যবহার শুরু ১৯১০-১৩ সালে। আর, ১৯৭০ সালের মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠান বুঝতে পারে যে একটি প্রতিষ্ঠানের ভিজুয়াল পরিচিতি আবশ্যক।

বর্তমানে ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লোগোর পিছনে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করে:

  • ৮০ হাজারের বেশি ১৫%
  • ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ২০%
  • ৪০ হাজার টাকার পর্যন্ত ৬৫%

লোগোর বৈশ্বিক পরিসংখ্যান ও অন্যান্য তথ্য:

  1. ৮০% লোগো ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়ায়
  2. ৯% বিখ্যাত ব্র্যান্ডের লোগোতে নাম নেই
  3. বিশ্বে ৮৫% লোগো তৈরি হয় ২ টি কালার দিয়ে
  4. লোগো তে বেশি ব্যবহৃত রঙ নীল
  5. অবচেতন মনে রঙের ভূমিকা ৬০-৯০%
  6. ভিজুয়াল কিছু মস্তিষ্কে পৌছায় মাত্র ৪০০ মিলি সেকেন্ডে
  7. লোগো স্মৃতিতে জায়গা করে নেয় মাত্র ৫-৭ টি ইমপ্রেশনে
  8. রঙিন লোগো ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়ায় ৮০% এর বেশি
  9. নিজেদের লোগো নিজেরাই তৈরী করে ৫০% প্রতিষ্ঠান
  10. FedEx এর লোগো পুরষ্কার জিতেছে ৪০+ বার

লোগো তৈরির করার পূর্বে যে বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে:

প্রতিষ্ঠান যেমনই হোক না কেনো, তার লোগো তৈরির পূর্বে কিছু বিষয় অবশ্যই জানতে হবে।

1. প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, উদ্দ্যেশ্য ফুটিয়ে তোলাই হবে লোগোর মূল ভূমিকা। একটি আদর্শ লোগো সার্বিকভাবে খুব সাধারণ, মনে রাখার যোগ্য, নির্ভর যোগ্য, অর্থবহ এবং নিরন্তর হবে।

2. লোগোতে প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরণ, অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের সেবা বা পন্য কী বা কেমন তা ফুটিয়ে তুলতে হবে, যেনো লোগো দেখেই জনসাধারণ বুঝতে পারে এটা কী ধরনের প্রতিষ্ঠান, তাদের সেবা বা পণ্য কী হতে পারে।

3. প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ে গবেষণা করা প্রাথমিক পদক্ষেপ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান কোন ধরনের, কেমন কালারের লোগো ব্যবহার করে, কীভাবে আমার লোগো স্বকীয় হবে, বেশি ফুটে উঠবে-এসব নির্ধারণ করার একমাত্র উপায় প্রচুর গবেষণা করা। আর স্বকীয় লোগোই হবে প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং শুভ সূচনা।

4. একটি যথাযোগ্য লোগে এমন হবে যা প্রথম ইমপ্রেশনকে করবে পজেটিভ। তার প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ঠিক মতো ফুটিয়ে তুলতে পারছে কিনা সেটা বিবেচনা করাই হবে মূল লক্ষ্য। লোগোর লুকানো অর্থ থাকতেই হবে, এমন নয়। সময়ের সাথে, মিথষ্ক্রিয়ার ফলে, লোগো নিজের থেকেই অর্থবহ হবে।

5. “There is nothing more expensive than a cheap design” কম টাকায়, সস্তা লোগো তৈরি করলে প্রথম ইমপ্রেশনকে জয় না করতে পারলে, সেটাই হবে প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রথম খারাপ পদক্ষেপ। তাই লোগোর এক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সাদা-কালোতে ডিজাইন করে দেখতে হবে। একটা আদর্শ লোগো কালারফুল না হয়েও সমান গ্রাভিটি বহন করবে। তাই সাদা কালোতে ডিজাইন করে দেখতে হবে। আবার অনেক প্লাটফর্মে কেবল সাদ কালোতেই পাবলিশ করতে হয়। একটি লোগো সব মিডিয়াতে ব্যবহারের উপযোগী হতে হবে।

লোগোর প্রকারভেদ:

অনেক সময় লোগো দেখেই প্রতিষ্ঠান চেনা যায়, কারণ প্রতিষ্ঠানের নামই লোগো। আবার অনেক ক্ষেত্রে কোনো বর্ণ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানকে চেনা যায়। আবার কখনো এই দুইয়ের মিশ্রণে গঠিত হয় আরেক ধরণের লোগো। প্রতিষ্ঠান প্রকৃতি বুঝে লোগো নির্বাচন করতে হবে।

লোগো প্রধানত ৩ ভাগে বিভক্ত। এই প্রকারকে আবার ৭ ভাগে বা ৭টি সাব-ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়।

১. টাইপোগ্রাফিক লোগো

২. আইকনিক লোগো

৩. কম্বাইন্ড লোগো (টাইপোগ্রাফিক + আইকনিক)

 টাইপোগ্রাফিক লোগো:

ছবি ছাড়া একটি লোগো কতোটা আকর্ষণীয় হতে পারে তার প্রমাণ হলো টাইপোগ্রাফিক লোগো। শেপ, কালার ও ফন্টের সঠিক ব্যবহারে টেক্সট নিজেই ছবি হয়ে উঠতে পারে। টাইপোগ্রাফিক লোগোকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়:

১. মনোগ্রাম বা লেটারমার্ক: যেসব কোম্পানির নাম বড়, তারা নামের সংক্ষিপ্ত রূপ বা নির্দিষ্ট কিছু বর্ণ দিয়ে মনোগ্রাম লোগো তৈরি করে। নাসা, বিবিসি, সিএনএন, এইচপি ও এইচবিও সহ আরো অনেক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের লোগো মনোগ্রাম।

২. ওয়ার্ডমার্ক: প্রতিষ্ঠান নামের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার না করে যখন পুরো নামই টাইপোগ্রাফি করা হয়, তখন সেটা ওয়ার্ডমার্ক। এই ধরনের লোগোতেও শুধু বর্ণ থাকে।

গুগলের লোগো কে না চেনে? গুগল, কোকাকোলা, ই-বে ও ভিসা সহ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের লোগো হলো ওয়ার্ডমার্ক।

✪ আইকনিক লোগো:

অনেক সময় ছবিই কথা বলে। এ ধরনের লোগোতে কোনো বর্ণ বা শব্দ ব্যবহার করা হয় না।

আইকনিক লোগো ৩ প্রকার:

১. পিকটোরিয়াল লোগো: লোগো বলতে আমরা সাধারণ পিকটোরিয়ালকেই বুঝে থাকি। এই ধরনের লোগে কোনো আইকন, ছবি বা গ্রাফিক্স নির্ভর। অ্যাপল, টুইটার, সেলের লোগো হলো পিকটোরিয়াল।

২. অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো: বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারের, বিমূর্ত কিছু থেকে গঠিত লোগোকে অ্যাবস্ট্রাক্ট লোগো বলে। এসব লোগে সাধারণত কোনো অর্থ বহন করে না। গুগল ড্রাইভ, পেপসি, নাইকি ইত্যাদির লোগো অ্যাবস্ট্রাক্ট।

৩. মাসকট লোগো: মানুষ, পশু বা কোনোকিছু চিত্রায়ন বা ইলুস্ট্রেশন করে এমন লোগো তৈরি করা হয়। যেমন: কেএফসি এর সবথেকে বড় উদাহরণ।

✪ কম্বাইন্ড লোগো:

কখনো কখনো টাইপোগ্রাফিক ও আইকনের মেলবন্ধনে বিশেষ ধরনের লোগো তৈরি করা হয়। এমন লোগো ২ প্রকার:

১. এমব্লেম: একটি সিম্বলের সাথে যখন বর্ণ, লেটার, ক্রেস্ট বা এমন ছবি জুড়ে দেওয়া হয়, তখন সেটা এমব্লেম লোগো। এমন ক্লাসিক্যাল লোগো স্কুল, কলেজে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়। যেমন: বিএমডাব্লিউ, হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়।

২. কম্বিনেশন মার্ক: এ ধরনের লোগোতে ওয়ার্ডমার্ক অথবা লেটারমার্কের সাথে যেকোনো ইমেজারি এবং আইকন লোগো মিলিয়ে তৈরি করা হয়। বাম, উপরে, ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাাদি অবস্থানে টাইপোগ্রাফিক ব্যবহার করা হয়। এমন লোগো খুব বেশি আকর্ষণীয় হয়। যেমন: স্যামসং, অ্যামাজন, ডাভ ইত্যাদি।

পরিশেষে বলাই যায় যে, প্রতিষ্ঠানকে একটি স্বনির্ভর পরিচয় দিতে লোগোর গুরুত্ব অপরিসীম এবং অদ্বিতীয়। তাই একটি প্রতিষ্ঠানের প্রথম অর্থবহ পদক্ষেপ হওয়া উচিত একটি অর্থবহ এবং আদর্শ লোগো তৈরি করা। এতক্ষণের আলোচনায় এই বিষয়টিই ফুটিয়ে তোলার চেস্টা করা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে ব্যবসার প্রচারে ফেসবুক মার্কেটিং এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন। সেইসাথে অনেক অনেক ধন্যবাদ কস্ট করে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য, ভুলত্রুটি হলে অবশ্যই পজেটিভ ক্রিটিসিজম করতে ভুলবেন নাহ।

তিন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দেখার সুযোগ একই ইন্টারনেট প্যাকেজে

তিন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দেখার সুযোগ একই ইন্টারনেট প্যাকেজে

ডিজিটালাইজেশনের সাথে সাথে মানুষের  জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসছে এবং সেই সাথে অনলাইনে ভিডিও কনটেন্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । তবে, অনলাইনে ভিডিও কনটেন্ট দেখতে বিনোদনপ্রেমীদের একটি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয়- বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রাইব করার প্রয়োজন হয়, খরচের হিসাব-নিকাশ করে একাধিক ট্র্যানজ্যাকশন করতে হয়। এক্ষেত্রে, গ্রাহকদের জন্য ওয়ান-স্টপ সল্যুশন নিয়ে আসার মাধ্যমে তাদের যাত্রাকে আরও সহজ করতে গ্রামীণফোন প্রথমবারের মতো ডেডিকেটেড ইন্টারনেট পোর্টফোলিও নিয়ে এসেছে, যেখানে থাকছে সাশ্রয়ী মূল্যে তিনটি প্যাকেজ।

প্লে প্যাকস নামে ডেডিকেটেড এই ইন্টারনেট প্যাক-এর মাধ্যমে গ্রাহকরা সহজেই অপট-ইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চরকি, হইচই ও বায়োস্কোপ প্রাইম – সবচেয়ে জনপ্রিয় এ তিনটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আনলিমিটেড কনটেন্ট দেখতে পারবেন, যা তাদের ডিজিটাল লাইফস্টাইলে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে।

এ প্যাকের মধ্যে রয়েছে তিনটি প্যাকেজ; সাত দিনের জন্য ১৫৮ টাকায় চরকি, হইচই ও বায়োস্কোপ সাবস্ক্রিপশন সহ ১২জিবি ইন্টারনেট (৬জিবি এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেট + ৬জিবি ইন্টারনেট); তিন দিনের জন্য ৪৬ টাকায় হইচই ও বায়োস্কোপ সাবস্ক্রিপশন সহ ১.৫জিবি ইন্টারনেট (৫১২ এমবি এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেট + ১জিবি ইন্টারনেট) এবং ত্রিশ দিনের জন্য ৩৫৮ টাকায় চরকি, হইচই ও বায়োস্কোপ সাবস্ক্রিপশন সহ ১২জিবি ইন্টারনেট (৪জিবি এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেট + ৮জিবি ইন্টারনেট)। ব্যবহারকারীরা এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেটের পাশাপাশি রেগুলার ডেটা উপভোগ করতে পারেন। ১৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ ক্যাম্পেইন পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত চলবে এবং গ্রাহকরা ক্যাম্পেইনের সময় যতবার খুশি ততবার এই অফারটি উপভোগ করতে পারবেন।

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের সিডিও সোলায়মান আলম বলেন, “গ্রামীণফোনে গ্রাহককে কেন্দ্র করেই আমরা সব কিছু করি। আমরা আমাদের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে এবং তাদের আরও ভালো অভিজ্ঞতা দিতে সবসময় উদ্ভাবনী সল্যুশন নিয়ে আসার চেষ্টা করি । সময়ের সাথে সাথে গ্রাহকদের ডিজিটাল লাইফস্টাইল পরিবর্তিত হচ্ছে। গ্রাহকরা এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিনোদনমূলক কনটেন্ট দেখতে পছন্দ করেন। এ নিয়ে তাদের আগ্রহও বেড়ে যাচ্ছে। তাদের বিনোদনের চাহিদা পূরণে এবং সবাইকে তাদের প্রয়োজনীয়তার সাথে যুক্ত করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে গ্রামীণফোন ডেডিকেটেড ইন্টারনেট প্যাক নিয়ে এসেছে। খুব সহজেই তারা এ প্যাকগুলো সাবস্ক্রাইব করতে পারবেন।”

স্কিটো ব্যতীত গ্রামীণফোনের সকল গ্রাহক এ অফার উপভোগ করতে পারবেন।

সেরা স্মার্টফোন হাতে আপনিও হতে পারেন আগামীর সেরা কনটেন্ট নির্মাতা!

সেরা স্মার্টফোন হাতে আপনিও হতে পারেন আগামীর সেরা কনটেন্ট নির্মাতা!

লাখো কনটেন্ট নির্মাতা ও ইনফ্লুয়েন্সারের মনমাতানো কনটেন্টের প্রতি দর্শকদের ভালোবাসা হালের জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। প্রথমে ট্রেন্ডিং কোনো বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি আর এরপর নিজের মত কৌশল ও পরিকল্পনা সাজিয়ে গল্পের কাঠামোকে বাস্তব রূপে ক্যামেরা বন্দী করা – এই নিয়েই কনটেন্ট নির্মাতাদের যত কারবার! ইন্টারনেট আর স্মার্টফোনের বদৌলতে বর্তমানের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় বিনোদনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে এই কনটেন্ট।

হাবস্পট’এর ২০২২ স্টেট অব কনজ্যুমার ট্রেন্ডস রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, কনটেন্ট নির্মাতাদের সংখ্যা ও এ সংক্রান্ত খাতটি দ্রুত আর্থিকভাবে বিকশিত হচ্ছে। রিপোর্টের সমীক্ষায় অংশ নেয়া ১৮-২৪ বছর বয়সীদের ৩০ শতাংশ ও ২৫-৩৪ বছর বয়সীদের ৪০ শতাংশই নিজেদেরকে কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে বিবেচনা করেন। নতুন এই ধারার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফোর্বস উল্লেখ করে — “এখনকার বাচ্চাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় তারা বড় হয়ে কী হতে চায়, তবে তাদের বেশিরভাগেরই উত্তর থাকে ‘ইউটিউবার’; আগের মত মিউজিসিয়ান বা অ্যাথলেট নয়! ভবিষ্যতের ইউটিউবারদের সংখ্যা এখন অ্যাস্ট্রোনট হতে চাওয়া শিশুদের চেয়েও তিনগুণ বেশি”।

কনটেন্ট নির্মাতা হওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহের আরেকটি কারণ হল, বিশেষ কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি বা অভিজ্ঞতা ছাড়াই যে কেউ এতে যুক্ত হতে পারেন। শুধু প্রয়োজন মাথাভর্তি আইডিয়া আর কিছু ডিজিটাল দক্ষতা। বাংলাদেশে ২০১০ সালের প্রথম দিকে শহুরে জীবন কেন্দ্রিক মজার মজার ভিডিও ইউটিউবে দেয়ার মধ্য দিয়ে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুরু করেন কনটেন্ট নির্মাতারা। সেই থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষামূলক ভিডিও, খাবার ও ভ্রমণ বিষয়ে ভ্লগিং, কমেডি রিল-সহ বিনোদনের আরও নানান শাখায় পৌঁছে গিয়েছে কনটেন্ট নির্মাণ। তাই এই ডিজিটাল যুগে প্রায় সবাই যেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের কোনো শিক্ষার্থী, যে শেষপর্যন্ত তার ‘হাউ-টু-বেক’ পেজ খুলতে পেরেছে – সে কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ১৮ বছর বয়সী হাইস্কুল শিক্ষার্থী, যে তার বন্ধুদের ভিডিও গেমের কৌশল শিখিয়ে ভিডিও বানাচ্ছে – সেও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ৫০ বছর বয়সী যে গৃহিণী তার নিত্যনতুন আইটেম রান্নার শখকে নিজের ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর নতুন করে আবিষ্কার করেছেন – তিনিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। এভাবে ছবি তোলা, গান কিংবা নাচ, বাগান করার টুকিটাকি টিপস আর সাইকেলের প্যাডেল চেপে দেশের আনাচে কানাচে ঘোরার গল্প – ক্যামেরার লেন্সে সব কিছুই রুপ নিচ্ছে অনন্য সব কনটেন্টে।

বলা বাহুল্য, কনটেন্ট তৈরি করতে এখন তাই আর ভারী ভারী রেকর্ডিং ক্যামেরা, মাইক, ক্রেন আর জন বিশেকের দল প্রয়োজন হয়না, প্রয়োজন হয় কেবল আগ্রহ আর ভালো ক্যামেরার একটি ফোন। অনেকে ভাবেন, প্রয়োজনীয় সব ফিচার যুক্ত ভালো ক্যামেরা-সহ ফোনের দামও তাহলে নিশ্চয়ই অনেক বেশি হবে। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। মানসম্মত কনটেন্ট তৈরির জন্য উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা-যুক্ত এমন স্মার্টফোনও বাজারে আছে, যা কিনতে আপনাকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না! সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে আসা স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এ৩৩ ফাইভজি ও গ্যালাক্সি এ৫৩ ফাইভজি এমনই দু’টি ফোন।

নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তোলার নিশ্চয়তা দিবে এমন দূর্দান্ত ক্যামেরা যুক্ত এই দু’টি ডিভাইস এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন যেকোনো নির্মাতার অনবদ্য কনটেন্ট নির্মাণের সেরা সহযোগী হয়ে উঠতে পারে। গ্যালাক্সি এ৩৩ ফাইভজি ও গ্যালাক্সি এ৫৩ ফাইভজি’র মাল্টি-লেন্স ক্যামেরা ছবি ও ভিডিওকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এই দু’টি স্মার্টফোন দিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এমন নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তুলতে পারবেন, যা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে খুব সহজেই। সুলভ মূল্য ও চমৎকার কালার ভ্যারিয়েন্টের এই দু’টি ডিভাইস আপনার শখ ও ইচ্ছেপূরণ করে আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৩৩ ফাইভজি ও গ্যালাক্সি এ৫৩ ফাইভজি’র পাশাপাশি এখন অনেক স্মার্টফোন উৎপাদকই কেবল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কথা মাথায় রেখে ডিভাইস নিয়ে আসছে। বিশ্ব জুড়ে এমন স্মার্টফোনগুলো তুলনামূলকভাবে বড় ও ভারী ডিএসএলআর’এর সেরা বিকল্প হয়ে উঠছে। তাই এখন আপনি অফিস ট্রিপে যান অথবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন, কিংবা নিছক ঘুরে বেড়ান শহরের নাম না জানা অলিতেগলিতে – আপনার প্রতিটি সাধারণ মুহুর্তকে অসাধারণ কনটেন্টে রূপ দিতে যেকোনো সময় দুর্দান্ত ছবি ও ভিডিও ধারণ করার ক্ষমতা থাকছে হাতের মুঠোয়।

তাই বলা যায়, কনটেন্ট নির্মাতা হয়ে ওঠার জন্য এটিই অতীতের যেকোনো কালের তুলনায় সবচাইতে সহজ সময়। দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে এমন গল্প তৈরি করতে হাতের মুঠোয় স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৩৩ ফাইভজি ও গ্যালাক্সি এ৫৩ ফাইভজি’র মত স্মার্টফোনগুলো যেন কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য ম্যাজিকের মত হয়ে এসেছে। চাইলে কিন্তু এমনই একটি ফোন বেছে নিয়ে কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে যাত্রা শুরু করতে পারেন আপনিও!

দেশে যাত্রা শুরু করছে ‘অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও বাংলাদেশ’

দেশে যাত্রা শুরু করছে ‘অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও বাংলাদেশ’

দেশে শিগগির যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যামাজন প্রাইম’। জানা গেছে, ‘অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও বাংলাদেশ’ নামে তারা কাজ শুরু করবে। এ দেশের দর্শকের জন্য প্ল্যাটফর্মটি এরই মধ্যে বেশকিছু ওয়েব ফিল্ম ও সিরিজ নির্মাণ করেছে।

‘অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও বাংলাদেশ’র হেড অব কনটেন্ট অ্যান্ড কর্পোরেট বিজনেস সোনিয়া হুরিয়া গুপ্তা বুধবার (৮ মার্চ) এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

সোনিয়া হুরিয়া গুপ্তা যাত্রা শুরু প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশেষে বাংলাদেশে আমাদের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। এ যাত্রা শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

শুরুতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি পাঁচটি ওয়েব কনটেন্ট দর্শকদের উপহার দেবে। এর পোস্টারও প্রকাশ করেছে অ্যামাজন প্রাইম।

 

পাঁচটি কন্টেন্ট হচ্ছে-

কিশলয়: মাহিরিয়ান চৌধুরী পরিচালিত এই রোমান্টিক থ্রিলারধর্মী ওয়েব ফিল্মটির গল্প গড়ে উঠেছে একজন কিশোরীর বিখ্যাত মডেলে পরিণত হওয়া এবং পরবর্তীতে তার করুণ পরিণতি নিয়ে। জান্নাতুল এলহাম মায়া এর গল্প এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন।

বাংলার বন্ধু: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগে ঘটে যাওয়া সব রোমাঞ্চকর গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘বাংলার বন্ধু’। ভারতের পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় রাইনো আরিয়ান খানের গল্প ও চিত্রনাট্যে এটি নির্মাণ করেছেন।

হাত ধুবি কিনা বল: আল নাহিয়ান মাশরাফির গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নির্মিত ‘হাত ধুবি কিনা বল’ ওয়েব ফিল্মটির কাহিনি করোনাকালে একজন সমাজ সেবকের হাত ধোয়ার ব্যবসা নিয়ে গড়ে উঠেছে।

চকলেটেই বাড়ে ভালোবাসা: বড়দের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও আয়োজন রয়েছে অ্যামাজন প্রাইম বাংলাদেশের তালিকায়। ১২ জন শিশুর চকলেট খাওয়া আর তাদের মধ্যে ভালোবাসার গল্প নিয়ে ভারতের শর্মিষ্টা মুখার্জি নির্মাণ করেছেন শিশুতোষ ওয়েব ফিল্ম ‘চকলেটেই বাড়ে ভালবাসা’। এটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন রিয়াজ আফ্রিদি।

 

কফিতা: একটি কফির ক্যাফেতে ২৪ ঘণ্টায় ঘটে যাওয়া সমাজের ৬ পেশার মানুষের জীবনের গল্প দেখা যাবে ‘কফিতা’ ওয়েব ফিল্মটিতে। এটি পরিচালনা করেছেন জান্নাতুল এলহাম মায়া। এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন রাইনো আরিয়ান খান।

এ মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ওটিটি প্লাটফর্মটি- অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও বাংলাদেশ সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলের সময় নতুন যে সুবিধা মিলবে

হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলের সময় নতুন যে সুবিধা মিলবে

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। মেটা মালিকানাধীন এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে প্রায়ই নতুন ফিচার নিয়ে আসে।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন ফিচার হিসেবে পিকচার-ইন-পিকচার বা পিআইপি মোড নিয়ে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ভিডিও কলের সময় মাল্টি-টাস্কিং সুবিধা দেবে। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল চলাকালীন অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

হোয়াটসঅ্যাপের ফিচার ট্র্যাকার ওয়েবেটাইনফো সর্বপ্রথম এই ফিচারটির খবর প্রকাশ্যে এনেছে। এই ওয়েবসাইটটি হোয়াটসঅ্যাপের নতুন পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করে থাকে।

ওয়েবেটাইনফো জানিয়েছে, নতুন এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ভিডিও কল চলাকালীন অন্য কাজেও নিজেদের ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন পিআইপি মোডের সৌজন্যে ব্যবহারকারীরা ভিডিও কল চলাকালীন একটি ছোটো উইন্ডোতে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও দেখার পাশাপাশি অন্যান্য অ্যাপও ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ ব্যবহারকারীরা ভিডিও কল করার সময়ও মাল্টি-টাস্কিং করার সুবিধা পাবেন।

নতুন এই ফিচারটি ব্যবহার করতে চাইলে আইওএস ইউজারদেরকে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের ২৩.৩.৭৭ ভার্সনটি ইনস্টল করতে হবে।

আইওএসের পাশাপাশি সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্যও নতুন একটি ফিচার রোলআউট করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। উল্লেখ্য, এতোদিন পর্যন্ত এই অ্যাপের মাধ্যমে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৩০টি মিডিয়া ফাইল শেয়ার করতে পারতেন ব্যবহারকারীরা। তবে এবার ৩০ থেকে বাড়িয়ে সংখ্যাটিকে ১০০ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অর্থাৎ একসঙ্গে ১০০টি ফটো বা ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। ইতিমধ্যে বিটা টেস্টারদের জন্য ফিচারটি রোল আউট করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

হোয়াটসঅ্যাপ কি? হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম! || হোয়াটসঅ্যাপ – WhatsApp Messenger

হোয়াটসঅ্যাপ কি? হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম! || হোয়াটসঅ্যাপ – WhatsApp Messenger

একটা সময় মানুষ যোগাযোগের জন্য চিঠির উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে, যে কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম। কারণ, অল্প সময়ের ব্যবধানে যোগাযোগ করতে রয়েছে অনেক ডিভাইস এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
তাদের ভিতর উল্লেখযোগ্য: ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম,ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ সহ আরো অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
আজ আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে চলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ এর ছোট্ট একটি রিভিউ। আশা করছি, এই ওয়েবসাইটের বিগত দিনের পোস্টগুলোও দেখবেন।
তাহলে চলুন শুরু করি!
হোয়াটসঅ্যাপ কি?
এটি একটি বহুল জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্ক মাধ্যম। বর্তমানে ১৮০ টি দেশের প্রায় ২ বিলিয়ন লোক, পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবদের সাথে সব সময় কানেক্টেড থাকতে, ব্যবহার করছেন “হোয়াটসঅ্যাপ
হোয়াটসঅ্যাপের প্রথম যাত্রা শুরু হয়, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ অর্থাৎ আজ থেকে ১২ বছর আগে। প্রথমদিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শুধুমাত্র মেসেজ করার সুযোগ থাকলেও, বর্তমানে রয়েছে ভিডিও, ভয়েস কল, লোকেশন এবং ডকুমেন্টস পাঠানো সহ আরো বেশ কিছু চমকপ্রদক ফিচার।
যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলবেন:
• প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপস টি, প্লে স্টোর অথবা অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন এবং ওপেন করুন।
• এরপর Agree & Continue বাটনে ক্লিক করুন এবং ফোন নাম্বার দিয়ে “Done” বাটনে ক্লিক করুন।
• এরপর ফোনে আসা ৬ ডিজিট ভেরিফিকেশন কোড দিন এবং “Done” বাটনে ক্লিক করুন।
• এরপর ফার্স্ট নেম এবং লাস্ট নেম দিয়ে “Create Account” এ ক্লিক করুন। এছাড়াও আপনারা চাইলে, ফেসবুকের তথ্য দিয়েও একাউন্ট খুলতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলার পর, অবশ্যই সিকিউরিটির জন্য টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করুন। ]
 
হোয়াটসঅ্যাপ এর বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা:
• আপনার ব্যক্তিগত কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের মেসেজ হিস্টরি এনক্রিপটেড অবস্থায় থাকে। যার ফলে আপনি ছাড়া অন্য কেউ দেখতে পারে না, এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত।
• দ্রুত এবং ধীর গতির ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েও, একসাথে ৮ জন মিলে ভিডিও এবং অডিও কলের সুবিধা।
• আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবার নিয়ে গ্রুপ খুলতে পারার সুবিধা। পাশাপাশি এনক্রিপটেড মুডে গ্রুপ ব্যবহার করা সম্ভব। এর ফলে আপনি ছাড়া কেউ, মেসেজ হিস্টরি, ছবি, ভিডিও এবং ডকুমেন্টস অন্য কেউ দেখতে পারবেনা।
• নির্দিষ্ট ছবি, ভিডিও, অডিও কিংবা ডকুমেন্টস কাঙ্খিত ব্যক্তির সাথে কনভারসেশন চলাকালীন, শুধুমাত্র একবার দেখানোর সুবিধা। (এটা এক প্রকারের প্রাইভেট চ্যাটিং বলতে পারেন। )
• গ্রুপ কলে কনভার্সেশন চলাকালীন যেকোনো মুহূর্তে বের হওয়ার সুবিধা। পাশাপাশি আপনি চাইলে আবার রি-জয়েনও করতে পারবেন। এছাড়াও এই অ্যাপে রয়েছে ছোট-বড় আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। যা জীবনযাত্রাকে আরো সহজ করে তোলে।
• পরিবার কিংবা বন্ধুদের মাঝে লোকেশন শেয়ার করার সুবিধা। পাশাপাশি যেকোনো মুহূর্তে লোকেশন বন্ধ ও করার সুযোগ রয়েছে।
• ফেসবুকের মত স্টরি কিংবা মাই ডে আপলোড করার সুবিধা এবং এটি ২৪ ঘন্টা পর অটোমেটিকলি বন্ধ হয়ে যায়।
 
হোয়াটসঅ্যাপ এর খারাপ দিক:
• একই সময়ে একসঙ্গে একাধিক ডিভাইসে একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।
• অ্যাপ এর তুলনায় ওয়েবসাইট খানিকটা স্লো।
• আপনার পাঠানো মেসেজ পুনরায় রি-এডিট করতে পারবেন না।
• আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেকোনো মুহূর্তে ফাঁস হতে পারে। ( টেকনোলজিস্টদের মতে ) তবে বিগত দিনেও বেশ কয়েকবার, হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের নামে তথ্য ফাঁস করার গুঞ্জন ইতিমধ্যে শোনা গেছে।
• মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ফিচারে ল্যাগিং সমস্যা। (ইউজারদের মতামত অনুযায়ী)
• একাউন্ট এনক্রিপটেড থাকা সত্ত্বেও, হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ আপনার/ আমার কিংবা আমাদের সম্বন্ধে যথেষ্ট তথ্য জানার ক্ষমতা রাখে। (বিভিন্ন টেকনোলজি রিলেটেড নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী।)
হোয়াটসঅ্যাপ এর নিয়ম নীতিমালা:
অবিশ্বাসযোগ্য হলেও এটা সত্যি যে, আমাদের ভিতর অনেক মানুষ রয়েছেন। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে, কিন্তু নির্দিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর নিয়ম-নীতিমালা সম্বন্ধে, কোন প্রকার ধারণা রাখে না। যার ফলে অনেকেই বিপদের সম্মুখীন হন।
হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বিগত দিনের থেকে বর্তমানে বেশ কঠোর অবস্থানে গিয়েছে। কারণ, দিন সামনের দিকে যত গড়িয়ে যাচ্ছে, অপরাধীর সংখ্যা কিংবা হার ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মাঝে বেশ কিছু নিয়ম-নীতি মেলা জুড়ে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
উদাহরণস্বরূপ যেমন: হুমকি, হয়রানি, অশ্লীলতা, অবৈধ, অপরাধ প্রচার, ছদ্মবেশ এবং বাল্ক মেসেজিং সহ আরো অনেক কিছু।
উপরোক্ত অপরাধ গুলোর মধ্য থেকে, যেকোনো একটির সাথে আপনার যদি সম্পৃক্ততা থাকে। তাহলে যে কোন মুহূর্তে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক কিংবা পুলিশের শরণাপন্ন হলেও হতে পারে। ]
ডিজাইন:
হোয়াটসঅ্যাপের ডিজাইনের কথা বলতে গেলে এক কথায় “অসাধারণ” হোয়াটসঅ্যাপ যারা দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছেন, তারা হয়তো জানেন হোয়াটসঅ্যাপ এর ডিজাইন কতটা অ্যাট্রাক্টিভ। তাই ডিজাইন সম্পর্কে বেশি কিছু বললাম না।
হোয়াটসঅ্যাপ এর রেটিং এবং রিভিউ:
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের প্লে স্টোর রেটিং রয়েছে 4.1/5 এবং রিভিউ রয়েছে প্রায় ১৪২ মিলিয়নেরও বেশি। এর পাশাপাশি অ্যাপ স্টোরে রেটিং রয়েছে 4.7/5 এবং রিভিউ রয়েছে প্রায় ৮ মিলিয়নেরও বেশি।
হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড:
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপস টি আপনারা ডাউনলোড করতে পারবেন প্লে স্টোর অথবা অ্যাপ স্টোর থেকে। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে উইন্ডোজ এবং ওয়েব ব্রাউজারে।
শেষ কথা:
পরিবার, বন্ধু-বান্ধব কিংবা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বেশ আলোচিত। হোয়াটসঅ্যাপ এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে, সেই সাথে নিয়ম নীতিমালাও। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনাদের রিকমেন্ড করব, হোয়াটসঅ্যাপে কোন ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ততা না রাখার।
কারণ, আপনার একটি অনৈতিক কাজের ফলে, ঘটে যেতে পারে অনেক কিছু।
যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস কল রেকর্ড করবেন || হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস কল রেকর্ড

যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস কল রেকর্ড করবেন || হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস কল রেকর্ড

হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ। জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপটির সাহায্যে ভয়েস ও ভিডিও কলিংও করা যায়।

কিন্তু অ্যাপটিতে কল রেকর্ড করার কোনো বিল্ট-ইন ফিচার নেই। হোয়াটসঅ্যাপ কল এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড। এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণেই অনেকে কলিংয়ের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের উপর ভরসা রাখেন।

এদিকে অনেক সময় কথোপকথন রেকর্ড করা জরুরি হয়ে পড়ে। কল রেকর্ড করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে বিল্ট-ইন কোনো ফিচার না থাকলেও একাধিক থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ড করতে পারবেন। তবে কল রেকর্ড করার আগে ফোনের অপর প্রান্তে ব্যক্তির অনুমতি নিন। অনুমতি ব্যতীত কারো কল রেকর্ড করবেন না।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যেভাবে রেকর্ড করবেন হোয়াটসঅ্যাপ কল

হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ডিংয়ের জন্য থার্ড পার্টি অ্যাপ হিসেবে ‘কল রেকর্ডার: কিউব এসিআর’ নামক অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপটি ব্যবহারের সুবিধা হলো, এটি সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ড করে ডিভাইসের ইন্টারনাল মেমোরিতে তা সেভ করে রাখে। প্রথমে গুগল প্লে স্টোর অ্যাপটি ইনস্টল করে নিন। এরপর ‘কিউব এসিআর’ অ্যাপ ওপেন করে হোয়াটসঅ্যাপে সুইচ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ কল ডায়াল বা রিসিভ করার সময় কিউব কল উইজেট দেখা গেলে বুঝবেন কল রেকর্ড হচ্ছে। যদি উইজেটটি দেখতে না পান, তাহলে পুনরায় কিউব এসিআর অ্যাপটি খুলুন এবং সেটিংসে গিয়ে ভয়েস কলের জন্য ‘ফোর্স ভিওআইপি কল’ অপশনটি বেছে নিন। তবে এবারও উইজেটটি না দেখালে বুঝতে হবে আপনার ফোনে এটি কাজ করবে না।

 

আইফোনে যেভাবে রেকর্ড করবেন হোয়াটসঅ্যাপ কল

আপনার ম্যাক ডিভাইস থেকে ‘কুইক টাইম’ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন। এরপর আপনার আইফোনটি কানেক্ট করুন ম্যাক ডিভাইসের সঙ্গে এবং কুইক টাইম খুলুন। এবার ‘ফাইল’ অপশনে চলে যান। ‘নিউ অডিও রেকর্ডিং’ অপশনে ক্লিক করে ‘আইফোন’ সিলেক্ট করুন; এরপর ‘রেকর্ড’ বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার আইফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করার জন্য ‘অ্যাড ইউজার’ আইকনে ক্লিক করুন। ভয়েস কল করলে তা অটোমেটিক্যালি রেকর্ড হয়ে যাবে। রেকর্ডিং ফাইলটি ম্যাক ডিভাইসে সেভ হবে।

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ফাস্ট চার্জার

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ফাস্ট চার্জার

বিগত কয়েক বছরে ফোনের চার্জিং প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। আগে স্মার্টফোন চার্জ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে গেলেও এখন ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির আশীর্বাদে স্মার্টফোন খুব দ্রুতই সম্পূর্ণ চার্জ করা যায়।

ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তিকে আরো উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যেতে এবার আসছে ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি। এর উদ্ভাবক চীনা ব্র্যান্ড রিয়েলমি।

এর আগে আরেক চীনা ব্র্যান্ড শাওমির কল্যাণে স্মার্টফোন বিশ্ব সর্বশেষ ২১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছিল। রিয়েলমি আরো একধাপ এগিয়ে এবার উদ্ভাবন করলো ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে রিয়েলমির যে ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসগুলো উন্মোচিত হবে সে সব ডিভাইসগুলোতে ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি থাকবে। এ ডিভাইসগুলো ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট দিয়ে খুব সহজেই চার্জ দেয়া যাবে; যা খুব অল্প সময়ের মধ্যে শতভাগ চার্জের বিষয়টিকে নিশ্চিত করবে। ২৪০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং দিয়ে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর পাওয়ার কনভারশেন রেট হবে ৯৮.৭ শতাংশ।

এছাড়া ২৪০ ওয়াটের উন্নত চার্জিং প্রযুক্তি ৮৫ ডিগ্রি উচ্চতাপমাত্রা সহ ৮৫ শতাংশ আর্দ্রতায় ফোন চার্জের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত পারফরমেন্স প্রদান করবে।

শাওমির ২১০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি দিয়ে ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারির স্মার্টফোন শূন্য থেকে ফুল চার্জ হতে ৮ মিনিটেরও কম সময় লাগে। রিয়েলমির ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার দিয়ে স্মার্টফোন ফুল চার্জ হতে কত সময় লাগবে, তা এখনো খোলাসা করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

সাড়া ফেলেছে ইনফিনিক্সের নতুন ফোন

সাড়া ফেলেছে ইনফিনিক্সের নতুন ফোন

 

গ্লোবাল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স গত ১২ জানুয়ারি দেশের বাজারে এনেছে স্পিড মাস্টার খ্যাত নতুন ফোন ‘নোট ১২ প্রো’। নতুন এই মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বেশ সাড়া ফেলেছে ইতোমধ্যে।

টেক রিভিউয়ার আর ইউটিউবাররাও ইনফিনিক্সের নতুন ফোনটি নিয়ে সার্বিকভাবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ইতিবাচক অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরাও। বেশ হালকা এই ফোনটিতে আছে শক্তিশালী প্রসেসর, বড় ও সুন্দর ডিসপ্লে, বিশাল ব্যাটারি এবং দারুণ ক্যামেরা। প্রিমিয়াম এই ফোনটি মিলবে মাত্র ২৬,৪৯৯ টাকায়।

টেক রিভিউয়ার চ্যানেল ‘টিটিপি’ জানিয়েছে, পারফরম্যান্সে সেরা এই ফোন। হেভি-ইউজার বা গেমারদের সব চাহিদা খুব সহজেই পূরণ করবে নোট ১২ প্রো। তাদের মতে, এই ফোনটি ‘পাওয়ার মনস্টার’। অন্যদিকে, ফোনটির ক্যামেরা নিয়ে কথা বলেছে টেক রিভিউয়ার চ্যানেল ‘প্রযুক্তি’। তারা বলেছে, ফোনটির ক্যামেরায় অসাধারণ সব ছবি তোলা যাচ্ছে। ছবির কালার ব্যালেন্স এবং ডিটেইলেরও প্রশংসা করেছে চ্যানেলটি।

স্মার্টফোনের কথা ওঠলে সাধারণত হেভি ইউজার ও গেমারদের প্রথম প্রশ্ন হয়ে থাকে প্রসেসরের গতি আর জিপিইউ নিয়ে। নোট ১২ প্রো হেভি ইউজার আর গেমারদের ভালোভাবেই সন্তষ্ট করতে পারবে বলে একাধিক রিভিউয়ে উঠে এসেছে। ফোনটির হেলিও জি-৯৯ প্রসেসরের গতি ২.২ গিগাহার্জ আর জিপিইউ আর্ম মেইল জি৫৭ ক্লাসের। তাই গেমিং বা ভিডিও এডিটিংয়ে গ্রাফিক্স নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হবে না। তাছাড়া, ১২ ন্যানোমিটারের জি-৯৬ প্রসেসর থেকে ৬ ন্যানোমিটারের জি-৯৯ প্রসেসর প্রায় ১০ শতাংশ কম ব্যাটারি খরচ করে।

নোট ১২ প্রো-এর শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা এবং ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরায় উজ্জ্বল, পরিষ্কার আর সুন্দর ছবি তোলা যায়, সঙ্গে রয়েছে ১০ গুণ জুম করার সুবিধা। ফোনটিতে প্রফেশনাল নাইট সিন ফটোগ্রাফি মোড থাকায় রাতের বেলাতেও ছবি ওঠানো যায় কোনো অসুবিধা ছাড়াই।

মাল্টি টাস্কিংয়ে স্বস্তি আনতে নোট ১২ প্রো-তে আছে অনন্য ব্যবস্থা। ২৫৬ জিবি রম বাড়ানো যায় ২ টিবি পর্যন্ত। আর মেমোরি ফিউশনের মাধ্যমে ৮ জিবি র‌্যাম বাড়ানো যায় ১৩ জিবি পর্যন্ত। ফলে ফোন স্বচ্ছন্দে ব্যবহারের পাশাপাশি ব্যাটারিও খরচ কম হয়। তাছাড়া, মেমোরি ফিউশন প্রযুক্তি থাকার কারণে, কোনো অ্যাপ ওপেন হওয়ার সময় নেমে আসে ৮০২ মাইক্রো সেকেন্ড থেকে ৩০৭ মাইক্রো সেকেন্ডে। পাশাপাশি, ব্যাকগ্রাউন্ডে একসঙ্গে ২০টি অ্যাপ চলবে কোনো সমস্যা ছাড়াই।

ফোনটির ৬.৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ফুল এইচডি+ ডিসপ্লেতে রিফ্রেশ রেট আছে ৬০ হার্জ পর্যন্ত। ৩৯৩ পিপিআই ডেনসিটির এই ডিসপ্লের স্ক্রিন টু বডি রেশিও ৯২ শতাংশ।

৭.৮ মিলি মিটারের আল্ট্রা স্লিম এই ফোনটিতে আছে বিশাল ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি। সঙ্গে আছে সুপার ফাস্ট ৩৩ ওয়াটের সুপারচার্জ সক্ষমতা। ফোনটিতে টাইপ-সি চার্জার দেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য এই ফোনে আছে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট। হাই কোয়ালিটির সাউন্ড দিতে ব্যবহার করা হয়েছে দুটো ডিটিএস স্পিকার। নোট ১২ প্রো পাওয়া যাচ্ছে ভলকানিক গ্রে, টাস্ক্যানি ব্লু এবং আলপাইন হোয়াইট-এই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রঙে।

ইনফিনিক্সের নোট ১২ সিরিজের আরেকটি ফোনের দুটি ভার্সন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ক্যামেরা আর স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ছাড়া নোট ১২ ২০২৩ এর বাকি সবকিছু নোট ১২ প্রো-এর মতোই। দামও আরেকটু কম। এই ফোনের ১২৮ জিবি ভার্সনের দাম ১৯,৯৯৯ টাকা; আর ২৫৬ জিবি ভার্সনের দাম পড়বে ২২,৯৯৯ টাকা।

দেশেই তৈরি হচ্ছে শাওমি স্মার্টফোনের পিসিবিএ

দেশেই তৈরি হচ্ছে শাওমি স্মার্টফোনের পিসিবিএ

গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠান শাওমি বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড এসেম্বলি (পিসিবিএ) উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে শাওমি।

কোম্পানিটি সম্প্রতি তার গাজীপুর কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ দিয়ে সারফেস মাউন্ট টেকনোলজি (এসএমটি) প্লান্ট স্থাপন করেছে এবং এটি শতভাগ বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হচ্ছে। রেডমি ১০সি হলো শাওমির উৎপাদিত প্রথম স্মার্টফোন, যা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পিসিবিএ দ্বারা তৈরি।

শাওমি, ডিবিজি টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্মার্টফোন ও পিসিবিএ তৈরি করছে। ডিবিজি একটি গ্লোবাল ইএমএস কোম্পানি, তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস রয়েছে বিশ্বব্যাপী (চীন, ভিয়েতনাম ও ভারত প্রভৃতি)। বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য কিছু ব্র্যান্ড ও কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য তাদের কারখানায় তৈরি হয়।

শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে পিসিবিএ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশের বাজারে দীর্ঘস্থায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতি শাওমি দিচ্ছে, সেই সঙ্গে দেশে আরও টেক-কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও আমরা অবদান রাখতে পারব। রেডমি ১০সি হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি পিসিবিএ দিয়ে শাওমির উৎপাদিত প্রথম স্মার্টফোন, যেটি দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। শিগগির দেশে উৎপাদিত সকল শাওমি স্মার্টফোনে স্থানীয়ভাবে তৈরি পিসিবিএ ব্যবহার করে বাজারজাত করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। এটি বাংলাদেশের টেক-ইন্ডাস্ট্রির অগ্রযাত্রায় একটি নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।’

পিসিবিএ হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তি পণ্যের একটি প্রধান উপকরণ যেটি বিভিন্ন চিপ এবং বৈদ্যুতিক সার্কিটের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে স্মার্টফোনের সকল ফাংশনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।

শাওমির স্মার্টফোন কারখানাটি এসএমটি প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রায় ২,৫০০ সারফেস মাউন্ট ডিভাইস (এসএমডি) উপকরণ প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড- এ মাউন্ট করে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী স্মার্টফোনের পিসিবিএ এবং সাব-পিসিবিএ তে রূপান্তর করতে পারে। এ কারখানাটিতে দৈনিক ৬,০০০ পিসিবিএ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। পিসিবিএ উৎপাদনের ফলে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

২০২১ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশে স্মার্টফোন কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত শাওমি স্মার্টফোনের যাত্রা শুরু হয়। এই বিশাল উদ্যোগের অর্থায়ন করা হয় সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে।

দেশে শাওমির মোট স্মার্টফোন চাহিদার প্রায় ৯৫ শতাংশ স্থানীয় কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে। এখানে এন্ট্রি ও মিড রেঞ্জের সব ফোন, যেমন রেডমি ১০এ, রেডমি ১০সি এবং রেডমি নোট ১১ দেশেই উৎপাদিত হয়।